নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: স্বাধীন বাংলাদেশের একাংশকে (পড়ুন সেন্ট মার্টিন) আমেরিকার কাছে বিক্রি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সহ প্রশাসনের শীর্ষ পদে আসীন বিদেশি নাগরিকদের দেশছাড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনার সামরিক গোয়েন্দা শাখা (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই)তরফে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশে নতুন করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ওই ষড়যন্ত্রকারীরা ঢাকা ছেড়ে নিজ নিজ দেশে পাড়ি জমাতে পারে বলে আশঙ্কা। সেই কারণেই ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দরে ওই নিষেধাজ্ঞার তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিবাসন দফতর ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের ওই অপরাধীদের উপরে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা জমানার  অবসানের পরে ৮ অগস্ট তদারকি সরকারের প্রধধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেন একাত্তরের পাক গণহত্যাকারীদের দোসর তথা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার বাহিনীর শীর্ষ নেতা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র নির্দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিদেশি নাগরিকদের বসাতে শুরু করেন। সিআইএ এজেন্ট তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক খলিলুর রহমানকে বিশেষ দূত হিসাবে নিয়োগ করেন। গগত ৯ এপ্রিল তাকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বসানো হয়। এছাড়া ব্রিটিশ নাগরিক তথা সেন্ট মার্টিনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার অন্যতম কুচক্রী ‘রাজাকার’ কন্যা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। যিনি আবার ইউনূসের ‘প্রেমিকা’ হিসাবে পরিচিত।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে। আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডার নাগরিক  মোহাম্মদ সুফিউর রহমান, শেখ মইনউদ্দিন, ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এবং আশিক চৌধুরীকে প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ফৈয়াজ প্রধান উপদেষ্টার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং আশিক চৌধুরী বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পাকিস্তান-সহ একাধিক দেশের নাগরিক তথা মুক্তিযোদ্ধা নিধন যজ্ঞের হোতা শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিক সুই‍ৎজারল্যান্ডেরও নাগরিক।

সূত্রের খবর, ইউনূসের এই বিদেশি সঙ্গীরাই গত আট মাস ধরে ভারতকে কোণঠাসা করার পাশাপাশি সেন্ট মার্টিন, চট্টগ্রাম বন্দর–সহ দেশের একাধিক সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বহুজাতিক সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল। কাটমানি বা তোলাবাজি হিসাবে ৫০ হাজার কোটির বেশি টাকা নিয়েছে। ওই টাকায় কানাডা, সুই‍ৎজারল্যান্ড, পাকিস্তান, দুবাই, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যাওয়ায় পিঠ বাঁচাতে খলিলুর অ্যান্ড গ্যাং দেশ ছেড়ে পালাতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ইউনূসের বিদেশি দালালদের দেশ থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুট করে পালানোর সুযোগ দিতে নারাজ সেনার শীর্ষ কর্তারা। তাই খলিলুরদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।