নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রহসন চালাচ্ছে শাসকদল আওয়ামী লীগ আর ‘প্রভুভক্ত’ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। ভোট শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের কাছ থেকে রেজাল্ট শিটে জোর করে সই করানোর অভিযোগ উঠল। অর্থাৎ এজেন্টদের সই আদায়ের পরে ইচ্ছেখুশিমতো ফলাফল বসিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার দলের প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হবে। মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার একটি সংসদীয় আসনে।
ঢাকা-১৪ আসনের কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোট কেন্দ্রে মোট ১০টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে একটি বুথের প্রিসাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ-সাহ বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টকে ডেকে জোর করে রেজাল্ট শিটে সই করিয়ে নেন। অথচ নিয়মানুযায়ী, ভোট গণনা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পরেই প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা লিখে রেজাল্ট শিটে সই করানো হয়। এজেন্টকে দিয়ে জোর করে রেজাল্ট শিটে সই করানোর কথা জানতে পেরেই সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রে ছুটে যান ঢাকা-১৪ আসনের নির্দল প্রার্থী সাবিনা আক্তার। অভিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে গিয়ে কেন রেজাল্ট শিটে আগে সই করানো হয়েছে তা জানতে চান। যদিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত প্রিসাইডিং অফিসার।
অন্যদিকে, প্রথম সাত ঘন্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ২৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের কর্মীরা। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি করতে দেখা গিয়েছে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের। শাসকদলের হুমকিতে অধিকাংশ বুথেই বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টরা বসতে পারেননি। ভোটগ্রহণের শেষ লগ্নে অবশ্য থানায় ঢুকে ওসিকে হুমকি দেওয়ায় চট্টগ্রাম-১৬ আসনে শেখ হাসিনার দলের প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।