নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঈদের সময়েই শুরু হয়েছিল সঙ্কট। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। কার্যত দেশজুড়ে সয়াবিন তেলের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির ফায়দা লুটতে নেমে পড়েছেন খুচরো বিক্রেতারাও। চাল-ডাল কিংবা অন্য পণ্য না কিনলে মিলছে না সয়াবিন তেল। ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সোমবার সয়াবিন তেলের আকাল নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাঠগড়ায় তুলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পাশাপাশি অবৈধ তেলের মজুত খুঁজে পেতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে ভোক্তা অধিকার দফতর।
রমজান মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশে সয়াবিন তেলের আকাল দেখা দেয়। ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে আচমকাই পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। রাতারাতিই ১১০ টাকা লিটারের তেল ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। রমজানের মাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু তার উল্টোটাই লক্ষ্য করা গিয়েছে। সয়াবিন তেলের অভাবে অনেকেই বর্তমানে সরষের তেল ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন। দোকানের পর দোকান ঘুরেও তেল পাচ্ছেন না আম আদমি। কোনও কোনও দোকানদার আবার তেল বেচার জন্য শর্ত চাপাচ্ছেন।
দেশে সয়াবিন তেলের তীব্র আকাল নিয়ে এদিন ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, এস আলম গ্রুপের পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ, টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিকুল আথহার তাসলিম, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারে সয়াবিন তেলের আচমকা সঙ্কটের কারণ শনাক্ত হয়েছে। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে সয়াবিন তেলের সঙ্কট তৈরি করেছে। অবৈধভাবে যারা তেল মজুত করছেন তাদের ডিলারশিপ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।