এই মুহূর্তে




দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মর্গে ৮ ভারতীয় বন্দির দেহ, তালিকায় বাংলার ১




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, বাংলাদেশের হিমঘরে পড়ে আছে  ভারত ও পাকিস্তানের ৯ বন্দীর মরদেহ। বারংবার দুই দেশের সরকারকে জানালেও কোন ভাবেই বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না এই মরদেহ গুলিকে। দিনের পর দিন মরদেহগুলো হিমঘরে সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ যাচ্ছে।

কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, এসব মরদেহ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বারবার দেশ দুটির হাইকমিশনে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত মরদেহ নেয়নি। মরদেহ সংরক্ষণে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নয়জনের মধ্যে আটজন ভারতীয়, একজন পাকিস্তানি। তাদের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে আছে। দুজনের মরদেহ আছে শরীয়তপুরের সদর হাসপাতালের হিমঘরে। আর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে আছে অপর মরদেহটি।

কারা অধিদফতর সূত্রে খবর, পাকিস্তানের নাগরিক মোহাম্মদ আলী ২০২১ সালের ১৮ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে ছিলেন। তার বাবার নাম সালামত। বাড়ি পাকিস্তানের করাচি। অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছিল। ভারতের নাগরিক ইমতাজ ওরফে ইনতাজের (৪৭) বাড়ি দেশটির উত্তর প্রদেশে। তার বাবার নাম ফারুক আলী। নীলফামারী জেলায় তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। বন্দী অবস্থায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ জুলাই তিনি মারা যান। তারেক বাইনের বাড়ি ভারতের বিহারে। বাবার নাম মরন বাইন। ২০২১ সালের ৮ জুলাই শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি মারা যান। পরে তার মরদেহ গোপালগঞ্জ থেকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়।

ভারতের নাগরিক খোকন দাসের বাড়ি দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। বাবার নাম অচিন দাস। ২০২২ সালের ৩ মার্চ খোকনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ভারতের নাগরিক কুনালিকার বাড়ি দেশটির ঝাড়খন্ড রাজ্যে। বাবার নাম শাম্মাদি। ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। কুনালিকা লালমনিরহাট জেলা কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সতেন্দ্র কুমারের বাড়ি ভারতের দিল্লি। বাবার নাম চন্দ্র পাল। অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মামলা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ হাসপাতালটির হিমঘরে আছে। একই দেশের নাগরিক বাবুল সিং। অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় মামলা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মারা যান। সুরাজ সিংহের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বাবার নাম সুদ্ধ সিং। অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছিল। সর্বশেষ তিনি খুলনা জেলা কারাগারে ছিলেন। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ৭ জুলাই মারা যান।

কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিধি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে লাশ কোনো দেশ বুঝে না নিলে তা আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে দাফন বা সৎকার করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় তাঁরা লাশগুলো এখনো হিমঘরে সংরক্ষণ করছেন। তবে দেশ দুটি মহদেহগুলো গ্রহণ না করলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম বা অন্য কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দাফন-কাফন বা সৎকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জোটের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীদের সংঘর্ষে রক্তাক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর

আচমকা ডিগবাজি মোল্লা ইউনূসের,নয়া নোটেও থাকছে শেখ মুজিবের ছবি

শেষ রক্ষা হল না, ৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে ১০ বছর পলাতক অপরাধী অবশেষে গ্রেফতার

বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন জনপ্রিয় বাংলাদেশি অভিনেত্রী মেহজাবীন

হাসিনাকে হঠানো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জোটে ভাঙন, নয়া সংগঠনের ঘোষণা বিক্ষুব্ধদের

২৫ ডিগ্রির নিচে এসি চালালেই বিদ্যু‍ৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, এবার ফতোয়া ইউনূস সরকারের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর