নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নিউমার্কেট চত্বরে ঢাকা কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক নিরীহ পথচারির। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নাহিদ নামে এক বেসরকারি সংস্থার কর্মচারি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও এক শিক্ষার্থী। পড়ুয়াদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালানোর প্রতিবাদে আজ বুধবার রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর সাত কলেজের পড়ুয়ারা। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা জোনের দায়িত্বে থাকা ডিসি সাজ্জাদুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের তোলাবাজ অফিসার হিসেবে কুখ্যাত সাজ্জাদুর রহমানের নির্দেশেই সংঘর্ষের সময়ে খুল্লামখুল্লা ব্যবসায়ীদের হয়ে পড়ুয়াদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। কলেজ চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করেছে। ব্যবসায়ী ও তাদের ভাড়া করা গুণ্ডারা যখন পড়ুয়াদের উপরে আক্রমণ চালাচ্ছিল তখন তা না আটকিয়ে রাস্তার উপরে ভুরিভোজে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। সেই ভুরিভোজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, ‘নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের অবৈধ ব্যবসাকে মদত জুগিয়ে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা তোলা আদায করে পুলিশ। মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময়ে তাই ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়েছে।’
পড়ুয়াদের উপরে যেভাবে গতকাল পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাতে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি। মঙ্গলবার রাতে স্কয়ার হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত ঢাকা কলেজের পড়ুয়া মোশাররফ হোসেনকে দেখতে যান তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সংঘর্ষের সময়ে পুলিশ পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা নিয়ে তদন্ত হবে। কেন সোমবার রাতে সংঘর্ষ শুরুর পরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল না পুলিশ, তা বোধগম্য নয়।’
আরও পড়ুন ব্যবসায়ী-পড়ুয়া সংঘর্ষের জের, বন্ধ করে দেওয়া হল ঢাকা কলেজ