নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পৌষের শুরু থেকেই দেশে মারকাটারি ব্যাটিং শুরু করল শীত। সোমবারের পরে মঙ্গলবারেও দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। ১০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন আমজনতা। কোথাও-কোথাও ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে রাস্তার পাশে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতেও দেখা গিয়েছে। সন্ধে নামতে না নামতেই রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে গিয়েছে। খদ্দেরদের অভাবে আগেভাগেই দোকান-বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আবহবিদদের মতে, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন জেলায় যে তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গিয়েছে তা গত ৩০ বছরের একই সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার গড়ের চেয়ে বেশ খানিকটা কম। গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা রাতে গড়ে ৯-১৫ ডিগ্রি এবং দিনের বেলায় ২২-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। আগামিকাল বুধবার থেকে পারদ কিছুটা চড়তে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে সুখবর দেওয়া হয়েছে।
শীতের শুরুতেই দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহবিদরা। তাঁদের সেই অনুমান সত্যি হয়েছে। গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, বরিশাল, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া এবং চুয়াডাঙায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সোমবার চুয়াডাঙায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেখানে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়াতে। ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ঘোরাফেরা করছে যশোর, তেঁতুলিয়া, পাবনার ঈশ্বরদী, রাজশাহী, এবং বরিশালে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের আবহবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ‘বুধবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও শীতল বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশিই থাকবে। অনেক জায়গায় আকাশ মেঘলাও থাকতে পারে।’