আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং প্রশাসনের ভূমিকার নিন্দা করে এবার রাস্তায় নামল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে ঢাকা-সহ শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলা মোটর, এলিফ্যান্ট রোডে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছে।বিক্ষোভ মিছিল শুরু হওয়ার আগে পড়ুয়ারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রে টিএসসি এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল বেরিয়ে পৌঁছয় শাহবাগ মোড়ে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, পুজো মণ্ডপ ভাঙচুরের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ফেসবুকে একটি পোস্ট ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের দল বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকা থমথকম করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের একজনকেও পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
হামলা হয়েছে শনিবারেও। মন্দির এবং হিন্দুদের দোকানে হামলার প্রতিবাদে শনিবার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের মানববন্ধন চলাকালীন ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে ফেনি। পরে সেখানে একটি মন্দির ও একটি আশ্রমে এবং বেশ কিছু দোকানে হামলাও চলে। শুক্রবার নোয়াখালির বেগমগঞ্জের চৌমুহনিতে মন্দির ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় দুজন প্রাণ হারান।