নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে কিনা, তা নিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। অবাধ ও নির্বিঘ্নে ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের দাবি উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের উপরেও চাপ বাড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এদিনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ৩০০ আসনের জন্য মনোনয়ন জমা নেওয়ার পর্ব মিটেছে। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ঝাড়ি-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র খারিজ হওয়া প্রার্থীদের আবেদনের শুনানি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই শুনানি চলবে। ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বন্টন হবে। যদিও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-সহ একাধিক দল নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে। ফলে একতরফা নির্বাচন হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সাড়ে সাত লক্ষেতর বেশি উর্দিধারীদের মোতায়েন করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন ও বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন। যদিও আনসার এবং পুলিশের উপরে ভরসা করতে পারছেন না বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, বকলমে আনসার এবং পুলিশ সদস্যরা শাসকদলের প্রার্থীদের জেতাতেই কাজ করবে। তাই সেনা মোতায়েনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরাও নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় তার জন্য সেনা মোতায়েনের পক্ষপাতী। কত সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে এবং সেনা সদস্যরা ভোটের সময়ে কী দায়িত্ব পালন করবে তা ঠিক করতেই সোমবার সন্ধ্যায় সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কমিশন আধিকারিকরা।