আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খেতে গেলে পয়সা লাগে। খাবার কিনতে গেলেও পয়সা লাগে। কিন্তু হদিশ মিলল একটি হোটেলের, যেখানে খাবার খেতে গেলে টাকা দিতে হয় না। খরিদ্দারের পকেটে পয়সা থাকলে তিনি দেবেন, না হলে দিতে হবে না। হোটেল কর্তৃপক্ষও টাকার ব্যাপারে কাউকে জোর দিতে পারবে না। এই হোটেলের নাম ‘আম জনতার হোটেল।’
খুব বেশি পদ অবশ্য নেই। মাত্র তিনটি পদ – ভাত-ডাল-মাংস। রমজান মাসের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিকশা চালক, ভ্যান চালক তো আসছেন। আসছেন হোটেল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারাও। ভীড় ভালোই হচ্ছে। যাদের হোটেলে গিয়ে খাওয়ার সামর্থ্য নেই, মূলত তাদের জন্য এই ব্যবস্থা।
আম জনতার জন্য হোটেল খোলার চিন্তাভাবনা গ্রিন রোডের বাসিন্দা তাহমিদ আহমেদ এবং তাঁর বন্ধু রাফিউল মহম্মদের। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় তাদের এই কার্যক্রম। করোনাকালেও তারা বিনা পয়সায় বহু মানুষকে খাইয়েছেন।
যে প্রশ্নটা ঘোরাঘুরি করছে, তা হল প্রতিদিন এত মানুষকে খাওয়াতে যে পয়সা খরচ হয়, সেটা আসে কীভাবে। তাহমিদ বলেন, সাধারণ মানুষও তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। ভ্যানচালক ভাই, রিকশাচালক ভাইদের পাশাপাশি এমন অনেকেই খেতে আসেন, যারা আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই স্বচ্ছল। তারা খাওয়ার পর স্বেচ্ছায় টাকা দেন। তবে কোনও প্রতিষ্ঠান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে ভালো হয়। আম জনতার মুখে গ্রাস তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দুয়ারী পাড়ায় বস্তিবাসীদের হাতে তুলে দেয় সেহরির প্যাকেট।
আরও পড়ুন সুস্বাদু সিংহ, জেব্রার মাংসের বার্গার এবার হাতের মুঠোয়