নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পদ্মা সেতু (Padma Bridge) নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির (Corruption) মিথ্যা অভিযোগের পিছনে থাকা কুচক্রীদের খুঁজে বের করতে কমিশন (Commission) গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার (Justice Md. Nazrul Islam Talukder) ও বিচারপতি কাজী মোহাম্মদ ইজারুল হক আকন্দের (Justice Quazi Md. Ijarul Haque) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশন গঠনের বিষয়টি আদালতের গোচরে আনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত এদিনের নির্দেশে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Younus) ও বিএনপি (BNP) নেতাদের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রক ও শীর্ষ আধিকারিকদের নোটিশ জারি করে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ। ওই নোটিশে পদ্মা সেতুর মিথ্যা দুর্নীতি গল্প সৃষ্টিকারী কে- তা জানতে চেয়ে এবং প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৬৫ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু দফায়-দফায় সরকার পক্ষ বাড়তি সময় চাওয়ায় মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। সেই সঙ্গে মামলার শুনানির জন্য বেঞ্চও বদলে যায়।
গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোহাম্মদ ইজারুল হক আকন্দ প্রশ্ন তোলেন, ‘ষড়যন্ত্র না থাকলে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ কেন হল?’ সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বিচারপতিরা বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহঙ্কার। এই ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’