নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কিংবদন্তী সুরকার শচীন দেব বর্মনের (Sachin Dev Burman) জন্মভিটেতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মিউজিক আর্কাইভ গড়ে তোলার সুপারিশ করল জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। পাশাপাশি বরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পৈতৃক বাড়িটিও সংস্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দুই কিংবদন্তীর বাড়ি যাতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর (Department of Archaeology) সংরক্ষণ করে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য দেখার ব্যবস্থা করে সেই সুপারিশও করা হয়েছে।
১৯০৬ সালের পয়লা অক্টোবর কুমিল্লা শহরের চর্থায় রাজবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তী সুরকার শচীন দেব বর্মন (Sachin Dev Burman)। ছোটবেলাতেই অবশ্য ত্রিপুরায় চলে যান। দেশভাগের পরে ১৯৫৮ সালে পরিত্যক্ত বাড়িটিতে পশু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়। তার পরে মুরগীর খামার খোলা হয়। সংস্কারের অভাবে কার্যত ভগ্নদশায় রয়েছে প্রখ্যাত সুরকার-শিল্পীর বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি সংস্কার করে সংরক্ষণের দাবি উঠেছে। দশ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, শচীন কত্তার (Sachin Dev Burman) বাড়িটি জাদুঘর হবে। কিন্তু ঘোষণাই সার থেকে গিয়েছে। অবহেলা আর অযত্নে পড়ে রয়েছে বাড়িটি।
শচীন দেব বর্মনের (Sachin Dev Burman) জন্মভিটের পাশাপাশি অবহেলায় পড়ে রয়েছে বরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) পৈতৃক ভিটে। কিশোরগঞ্জের কাটিয়াদী উপজেলার মসূয়ায় কিছু স্মৃতি আর জরাজীর্ণ অবকাঠামো নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে জমিদার উপেন্দ্রকিশোর রায়ের বাড়িটি। যিনি সত্যজিতের (Satyajit Ray) ঠাকুর্দা। দ্বিতল ভবনটির ছাদ ভেঙ্গে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চারপাশে লতাপাতা, শ্যাওলা আর বটবৃক্ষ ঢেকে ফেলেছে ভবনটির বাহ্যিক সৌন্দর্য। জরাজীর্ণ বাড়িটির পাশের ঘরটি বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।