নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই নববর্ষের উৎসবে মেতে উঠবে বাংলাদেশের আপামর বাঙালি। প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয় ওপার বাংলায়। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রমনার বটমূলে আয়োজন করা হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ পুলিশ। শুক্রবার রমনার বটমূলে নববর্ষের অনুষ্ঠান বিকেল ৪টের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করে করেছে ঢাকার পুলিশ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আগামিকাল শুক্রবার পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। রমনা বটমূলে ছায়ানটের সঙ্গীতের মাধ্যমে দিনটির বরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য ২০০১ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী এ রমনা বটমূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাতে অনেক নিরীহ লোকের প্রাণহানি ঘটে। তার পর থেকে ডিএমপি প্রতিবছর রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রসরোবর ও ঢাকার যেসব স্থানে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়, সেসব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। এর অংশ হিসেবে রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।’ তিনি আরও বলেন ‘রমনা পার্ক সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ৪টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করে রমনা ত্যাগ করতে হবে। চারটার পর আর কাউকে রমনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
রমনা বটমূলে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করার পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, রবীন্দ্রসরোবর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আরও বলেন, ‘রমনাকেন্দ্রিক মোট ৯টি গেট থাকবে। এর মধ্যে চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। বাকি ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশ-বাহির হওয়া যাবে। প্রতিটি গেটে পুলিশ, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। প্রত্যেককে তল্লাশি করে রমনায় প্রবেশ করানো হবে।’