নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে কতটা অসহায় অবস্থার মধ্যে হিন্দুদের বাস করতে হচ্ছে ফের তার প্রমাণ মিলল। মাদারীপুরের কালকিনিতে এক হিন্দু পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্য দিবালোকেই মারধর করলেন কাউন্সিলর ও তার গুণ্ডাবাহিনী। এমনকী নির্যাতিত পরিবারকে অবিলম্বে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নিদানও জারি করেছে। আর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে নীরব দর্শক হয়ে সবটাই দেখেছে পুলিশ। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আইন রক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য তদন্তের নামে নয়া নাটক শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদারীপুরের নয়াকান্দি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ঝন্টুচন্দ্র মণ্ডল। সম্প্রতি ধান মাড়াই করার জন্য প্রতিবেশি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মেশিন ভাড়া করেন ঝন্টু। ধান মাড়াই করার জন্য ওই একই মেশিন ভাড়া করেন কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন। আর ওই মেশিন নিয়েই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এমনকী মেশিন না দিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলেও ঝন্টুকে হুমকি দেন কাউন্সিলর। ওই হুমকির পরেই ঝন্টু থানায় গোটা ঘটনা জানান।
বুধবার আচমকাই গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে ঝন্টুর বাড়িতে চড়াও হয় আনোয়ার। সঙ্গে তার স্ত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশও ছিল। আচমকাই ঝন্টুকে মারধর শুরু করেন আনোয়ার। বাবাকে আক্রান্ত হতে দেখে এগিয়ে আসে ঝন্টুর ছেলে উজ্জ্বল। তাকেও মারধর করে কাউন্সিলরের সঙ্গীরা। ইটের আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শুধু কাউন্সিলর নন, তার স্ত্রী রিক্তা বেগমও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঝন্টুদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। হামলার সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও হামলাকারীদের প্রতিহত করার কোনও চেষ্টা করেনি। বরং বিষয়টি উপভোগ করছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ওই ঘটনার পরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার হিন্দুরা।