নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে দেশের অধিকাংশ মানুষই ভারতের বিভিন্ন শহরে ছুটে যান। প্রতি বছর দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা চলে যায় পড়শি দেশে। তার মধ্যেই স্বস্তির খবর। দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা করলেন ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এই প্রথম ৪২ বছর বয়সী এক মহিলার শরীরে সফলতার সঙ্গে স্থাপন করা হলো কৃত্রিম হৃদপিণ্ড। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অসাধ্যসাধন করেছেন। চিকিৎসক মহল মনে করছে, এই সফল অস্ত্রোপচারের ফলে হৃদরোগের চিকিৎসায় ভারত সহ বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদপিণ্ডের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৪২ বছর বয়সী মহিলা। দেশের পাশাপাশি বিদেশে গিয়েও চিকিৎসা করিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে তেমন সুফল মেলেনি। তাঁর হৃদপিণ্ড বা হার্ট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ছিল। উন্নত বিশ্বে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের একমাত্র চিকিৎসা আরেকটি সুস্থ হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা।
তবে যদি সুস্থ হৃদপিণ্ড পাওয়া না যায় এবং হার্টের অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে তবে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট বা (LVAD ) এলভ্যাড স্থাপন করা হয় । এতে রোগীর হৃদপিণ্ড কিছুটা বিশ্রাম পায় এবং সমস্ত শরীরের রক্ত চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে ।