আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের জেরে পীরগঞ্জের ২০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের দল। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত ১০টা নাগাদ। প্রায় ১২ ঘণ্টা হতে চলল, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি, যা রীতিমতো বিস্ময়ের।
রংপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মহম্মদ কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, গুজব রটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবক ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সেই গুজব ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১০টা নাগাদ পীরগঞ্জে কয়েকজন (বিএনপির ভাষায় সরকারের গুণ্ডা বাহিনী) ২০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হামলার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকা থমথম করছে।
হামলা হয়েছে শনিবারেও। মন্দির এবং হিন্দুদের দোকানে হামলার প্রতিবাদে শনিবার জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের মানববন্ধন চলাকালীন ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে ফেনি। পরে সেখানে একটি মন্দির ও একটি আশ্রমে এবং বেশ কিছু দোকানে হামলাও চলে। শুক্রবার নোয়াখালির বেগমগঞ্জের চৌমুহনিতে মন্দির ও দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় দুজন প্রাণ হারান।
ফেনি শহরের ট্রাংক রোড ও তাকিয়া রোডের মোড়ে কালীমন্দিরের সামনে পুলিশের মোতায়েন করা হয়েছে। ফেনির বড় বাজারের কালীমন্দির, জগন্নাথবাড়ি মন্দির, বাঁশপাড়া মন্দির-সহ শহরের সব মন্দিরের সামনেই এখন পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
গত শনিবার হামলা হয়েছিল শহরতলির কালীপাল গাজীগঞ্জ মহাপ্রভুর আশ্রম ও দুর্গামন্দিরে। গতকাল সেখানে গিয়ে দেখা যায়, একটি গাড়ির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। মন্দিরের বাইরের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙা। সেখানে দুটি জানালা আংশিক ও প্লাস্টিকের কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।