এই মুহূর্তে




৮ মাসে ২৯ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার ইউনূসের সংস্থার, বিস্ফোরক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসীন হয়েই দেশে লুটপাট শুরু করেছেন তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ঘনিষ্ঠরা। প্রধান উপদেষ্টার ইন্ধনে দেশ থেকে বিদেশে হাজার-হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার শুরু করেছে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, গত ৮ মাসে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৮৭, ৬৫৭ কোটি টাকা। আর ওই টাকার এক তৃতীয়াংশ্ পাচার করেছে তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা ইউনূসের মালিকানাধীন সংস্থা ‘গ্রামীণ’। ওই সংস্থা পাচার করেছে ২৮ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। বিদেশে অর্থ পাচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাল্টিমোড শিল্প গোষ্ঠীর কর্ণধার আবদুল আউয়াল মিন্টু। তার সংস্থা বিদেশে সরিয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের এক পরিচালক জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জমানায় যেমন আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ শিল্প সংস্থা এস আলম, বসুন্ধরা, সিটি গ্রুপ, সামিট গ্রুপ বিদেশে লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, বর্তমান সরকারের জমানাতেও সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের নামে গত আট মাসে পাচার হয়েছে ৮৭ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইসলামী ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্ক, যমুনা ব্যাঙ্ক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাঙ্কের মতো বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ওই বিপুল অর্থ  পাচার হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ সফটওয়্যার লিমিটেড , গ্রামীণ নিটওয়্যার লিমিটেড ২৮ হাজার ৯১১ কোটি টাকা পাচার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, সুইডেন, ফ্রান্স ও ইতালিতে ওই টাকা পাচার হয়েছে।। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউনূসের দুই মেয়ে মণিকা ইউনূস ও দীনা আফরোজের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিক) নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অর্থ পাচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিএনপি নেতা তথা মাল্টিমোড গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ কাজে লাগিয়ে তিনি পাচার করেছেন ১৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরের এনএফএম এনার্জি ও আমেরিকার নিউ জার্সির এক সংস্থার নামে ওই বিপুল টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ পাচারে তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে কুখ্যাত রাজাকার ও ভূমিদস্যু হিসাবে পরিচিত নুরুল ইসলাম বাবুলের যমুনা গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠী শাহজালাল ইসলামী ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দুবাই মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও কাতারে ১০ হাজার ১২৯ কোটি টাকা পাচার করেছে। শেখ হাসিনা উচ্ছেদ আন্দোলনে অর্থ ঢালা রূপায়ণ গোষ্ঠীর মালিক লিয়াকত আলি খান উত্তরা ও ডাচ-বাংলা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কানাডা, সুইডেন ও ডেনমার্কে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের ইউনূস ব্রাদার্স, র‍্যাংগস গ্রুপ সহ আরও একাধিক সংস্থা বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে সরিয়েছে।

ইউনূসের সংস্থা-সহ দেশের একাধিক সংস্থার বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে নিজের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর আহসান মনসুর। তাঁর কথায়, ‘শেখ হাসিনা জমানায় পাচার হওয়া অর্থ যখন দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে তখন তদারকি সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা নতুন করে বিদেশে অর্থ পাচারের মতো জঘন্য কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ লুটেরাদের হাত থেকে কবে মুক্তি পাবে তা কেউ জানে না।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফুটানি! লন্ডনে মোল্লা ইউনূসের জন্য ভাড়া করা হয়েছিল ৭ লাখি হোটেল রুম

‘দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে’, ইউনূস-তারেকের বৈঠকের পরে হুঙ্কার এনসিপির

রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণে ইউনূসকে সমর্থন তারেকের

লন্ডনে আইএসআইয়ের দুই এজেন্টের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা   

ম্যাক্রোঁর পরে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসতে অস্বীকার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর

ভাঙচুরের পরে সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের কাছারিবাড়িতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ