নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে গত কয়েকদিন ধরেই করোনার বেলাগাম সংক্রমণ শুরু হয়েছে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে। রাজনৈতিক সহ সমস্ত ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ হয়েছে। ফলে আগামী ১৬ জানুয়ারি রবিবার নারায়ণগঞ্জ পুর নিগমের ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, ‘আগামী ১৬ জানুইয়ারি নারায়ণগঞ্জ পুর নিগমের এবং টাঙাইল-৬ সংসদীয় আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে।’ কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে সব রাজনৈতিক দলই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।
করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মাথায় রেখে সোমবার সন্ধ্যাতেই দেশজুড়ে কড়াবিধিনিষেধ চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণ পরিবহণ চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সমস্ত ধরনের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কিভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোট নেওয়া হবে? প্রার্থীরা কিভাবে প্রচার চালাবেন? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ভোট কী স্থগিত রাখা হবে? মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন বলেন, ‘করোনা ঠেকাতে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করা হলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও টাঙ্গাইল-৭ আসনসহ ১৬ জানুয়ারির সব নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হবে। এখনও নির্বাচন বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তাছাড়া মাত্র পাঁচ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এসব নির্বাচন। প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন, সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইল-৭ সংসদীয় আসনে উৎসবমুখর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই ১৬ জানুয়ারি যে সব নির্বাচন হবে তা স্থগিত করার মতো পরিস্থিতি এখনও আসেনি। তবে পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’