এই মুহূর্তে

ফের নয়া ষড়যন্ত্র, খালেদা দেশ ছাড়তেই জামায়াতের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ‘একান্ত’ বৈঠকে মোল্লা ইউনূস

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যা করতে পারেনি, তাই কী কার্যকর করতে চলেছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রাজাকার’ সরকার? বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী কার্যকর হতে চলেছে ১৭ বছর আগের ‘মাইনাস টু ফর্মূলা’? প্রশ্নটা উঠেছে তার কারণ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া চিকি‍ৎসার জন্য দেশ ছাড়ার মুখেই নিজের রাজনৈতিক গুরু তথা জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে তড়িঘড়ি একান্ত বৈঠক করেছেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। দুই তরফেই বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষা‍ৎকার আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে ‘মাইনাস’ করার পরিকল্পনা কীভাবে কার্যকর করা হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনে খালেদাকে আর বাংলাদেশের মাটিতে ফিরতে দেওয়া হবে না বলেও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।

২০০৭ সালে ত‍ৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আমেদের সমর্থনপুষ্ঠ ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জমানায় বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ‘মাইনাস টু ফর্মূলা’ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র একাংশ নেতাকে দিয়ে দলের অন্দরে বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিল। আর ওই ‘মাইনাস টু ফর্মূলা’র উদ্যোক্তা ছিলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। যদিও দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নিচুতলার কর্মীরা বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ানোয় ওই পরিকল্পনা কার্যকর করা যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার মাইনাস টু ফর্মূলা কার্যকর করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। প্রথমত, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে ছত্রভঙ্গ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। গ্রেফতারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তারা। এবার চিকি‍ৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছেন। ফলে বিএনপির একাংশকে কাজে লাগিয়ে দলের নেতৃত্ব দখল করানো খুব একটা সমস্যার হবে না।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিএনপির ভারত বিরোধী নেতাদের সঙ্গে ইউনূস সরকারের দুই উপদেষ্টা দফায়-দফায় বৈঠক করেছেন। দলের নেতৃত্ব দখল করলে প্রশাসনের তরফে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ওই বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা হাফিজউদ্দিন আমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়রা। তাছাড়া বিএনপির অন্দরে থাকা জামায়াত ও পাকিস্তানপন্থী নেতাদেরও এ বিষয়ে কাজহে লাগানো হবে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিএনপিকে দুর্বল করা যায়, তা নিয়েই মঙ্গলবার মোল্লা ইউনূসা ও জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশে ফের সেনার বিশেষ ক্ষমতা বাড়ল ৬০ দিন, মিলল গুলি চালানোর অধিকার

দিল্লিকে লাল চোখ ঢাকার, সীমান্তে বেড়া নির্মাণ নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব ইউনূস সরকারের

‘বিএসএফকে বেড়া নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না’, দিল্লিকে খুল্লামখুল্লা চ্যালেঞ্জ ইউনূসের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মর্গে ৮ ভারতীয় বন্দির দেহ, তালিকায় বাংলার ১

‘সিরাজগঞ্জে ১৫ পুলিশ কর্মীকে আমরাই খুন করেছি’, ৫ মাস বাদে দায় স্বীকার বিএনপি নেতার

মোল্লা ইউনূসের বিদায় ঘন্টা বাজল! ট্রাম্পের সঙ্গে প্রাতঃরাশের আমন্ত্রণ পেলেন বিএনপির ৩ নেতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর