নিজস্ব প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: পূর্বাভাসই সত্যি হলো। শীতের কামড়ে কার্যত জবুথবু দেশের উত্তরাঞ্চল। শুক্রবার কুড়িগ্রামে তাপমাত্রার পারদ এক ধাক্কায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় রীতিমতো বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তুরে হাওয়ার কারণেই তাপমাত্রার এমন পতন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে কুড়িগ্রামে এদিনই ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী তিন দিন অবস্থার কোনও উন্নতি ঘটার সম্ভাবনা নেই। শুধু উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলিতেই নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় এদিন রাত থেকে তাপমাত্রার অনেকটা পতন ঘটবে।
বৃহস্পতিবারই আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার থেকে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঘন কুয়াশার আস্তরণে ছেয়ে গিয়েছিল গোটা উত্তরাঞ্চল। রাত নামতেই ব্যাপক ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। অনেককেই দেখা গিয়েছে, আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে কুয়াশার চাদর সরাতে শুক্রবার দিনের বেলাতেও বিভিন্ন গাড়িকে হেডলাইট জ্বালাতে দেখা গিয়েছে।
কুয়াশার পাশাপাশি ছিল হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা। কুড়িগ্রামের পাশাপাশি পঞ্চগড়, নীলফামারী ও রংপুরে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। যাওয়ার লগ্নে শীতের এমন কামড় কার্যত লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে জনজীবনকে।