নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার: স্বামী ও শিশু সন্তানকে বন্দি করে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সৈকত শহরে ঘুরতে আসা মহিলা পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ‘সংরক্ষিত’ এলাকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র মহিলা পর্যটকরাই ওই বিশেষ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি মহিলা পর্যটকদের জন্য আলাদা ড্রেসিং ও লকার রুমও তৈরি করা হচ্ছে। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সুফিয়ান।
গত বুধবার স্বামী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ঢাকার যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা এক গৃহবধু। আর তার পরেই সৈকত নগরীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে সৈকত নগরীতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল না। ২০১৯ সালেও এক অস্ট্রেলিয়ান তরুণী কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবশ্য নির্যাতিতা গৃহবধূর চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার। আর তাতেই কার্যত আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে।
তবে ভবিষ্যতে যাতে আর এমন অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে তার জন্য কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজারে যে সমস্ত মহিলা পর্যটক ঘুরতে আসবেন, তাঁদের জন্য ১০০-১৫০ ফুট জায়গা নিয়ে একটি বিশেষ এলাকা তৈরি করা হচ্ছে। ওই সংরক্ষিত এলাকায় গিয়ে সমুদ্রের জলে নামতে পারবেন মহিলা পর্যটকরা। খুব শিগগিরই সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে।’ মহিলা পর্যটক নিয়ে যাতে হোটেল ও গেস্ট হাউসের মালিকরা বাড়তি সতর্ক থাকেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।