আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা ছাড়া শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির জোরে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সাগর মিয়া। গরিব মানুষদের সেবা করাই তাঁর স্বপ্ন।
সাগর মিয়ার বাড়ি বাসাইল উপজেলার আদাজান পশ্চিপাড়া গ্রামে। হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা সাগর মিয়া বাসাইল গোবিন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নলুয়া বিএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ পাঁচ পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীকালে শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৭৭.৫ শতাংশ। মেধা তালিকায় ১৫৮৯ তম স্থান দখল করে সিএমজি মেডিকেল কলেজে সে ভর্তি হয়।
সাগর জানিয়েছে, সে অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। দারিদ্র্যের সঙ্গে ছোট থেকে লড়াই। গরিব পরিবারের সন্তান হওয়া সে উপলব্ধি করতে পারছে এই শ্রেণির মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণার কথা। লেখাপড়ার খরচ চালাতে বাবাকে অত্যন্ত কষ্ট করতে হয়েছে। মা গরুর জন্য ঘাস কাটা থেকে শুরু করে ডিম-দুধও বিক্রি করেছে। বাবা দিন-রাত এক করে গাড়ি চালিয়েছে। দুই বোন তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে জামা-কাপড় না কিনে দাদার হাতে তুলে দিয়েছে। ডাক্তারি পড়ার খরচ এত বেশি যে মা কয়েক বছর ধরে নতুন কাপড় কিনতে পারেনি।
আবদুল আউয়াল এবং হেনা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সাগর বড়। ভাঙা একটি টিনের ঘর তাদের আশ্রয়স্থল। প্রতিবেশী শিক্ষক জাহাঙ্গির হোসেন জানিয়েছেন, সাগর ছোট থেকেই মেধাবী। অদম ইচ্ছার জোরে সে এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে।
আরও পড়ুন মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বরে ফের সন্ধান মিলল অষ্টম কোণাকৃতির বৌদ্ধস্তূপের