এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলাদেশে চলছে নির্বিঘ্নের ভোটগ্রহণ, জয়ের বার্তা দিলেন হাসিনা

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পড়শির ঘরে আগুন লাগলে আঁচ লাগে নিজের ঘরেও। তাই দুই বাংলার কেউই চায় না অন্যের ঘরে আগুন লাগুক। দুই বাংলার দুই দিদির হাতেই নিরাপদে থাকতে চান দুই বাংলার মানুষ। আজ রবিবার সেই দুই বাংলাই তাকিয়ে থাকছে বাংলাদেশের(Bangladesh) দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনের(12th General Election 2024) দিকে। এদিন ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টা ও বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের(National Assembly) ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনের জন্য। বাংলাদেশের মূল বিরোধী দল বিএনপি(BNP) সহ আরও বেশ কিছু দল এই নির্বাচন বয়কট করেছে। তারপরেও শাসক দল আওয়ামী লীগ(Awami League) সহ মোট ২৮টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এদিন সকালে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister of Bangladesh) শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina Wazed)। ভোট কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে তিনি জাতীর উদ্দেশ্যে জয়ের বার্তা দেন।

এদিন সকাল ৮টার একটু আগেই শেখ হাসিনা সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছান। সময় শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোটকক্ষে প্রবেশ করে ভোট দান করেন। ভোট দেওয়ার পর হাসিনা জানান, ‘জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। নৌকারই জয় হবে। আমরা যে সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে পারছি, সে জন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, অনেক বাধা ছিল। অনেক বিপত্তি ছিল। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়েছে এবং নির্বাচনটা যে একান্ত জরুরি, তা বুঝতে পেরেছেন। জনগণ তার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে। আমরা ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি। বিএনপি ও জামায়াত জোটেরা জ্বালাও-পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকালকে এবং আগেও আপনারা দেখেছেন, ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, মানুষকে বাধা দেওয়া, বোমা হামলা, ককটেল মারা—এ সমস্ত জঘন্য কাজগুলো তারা করেছে। আমি এটুকুই বলব, তারা গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না, দেশের মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতান্ত্রিক ধারা চায় না।’

এছাড়াও হাসিনা জানান, ‘২০০৯ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের এই উন্নতিটা হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে। সেটুকু আমরা সম্পন্ন করতে চাই। আমি আশা করি, নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে এবং আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আমরা আমাদের বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। এ বিশ্বাস আমার আছে। জনগণের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। সবাই সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোটটা অত্যন্ত মূল্যবান ভোট। এই ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম, অত্যাচার, বোমা, গ্রেনেড—অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকার মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। আজকে জনগণ সেই ভোটের অধিকার পেয়েছে। সেটা তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারবে এবং নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।’

এর পাশাপাশি বিরোধী শিবিরকে বার্তা দিয়ে হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। জনগণ যাকে খুশি ভোট দিক। কিন্তু নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, সেটাই আমরা চাই। জনগণের সব রকমের সহযোগিতা চাই। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা কখন নির্বাচনেই বিশ্বাস করেনি। কারণ, বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের মাধ্যমে, সংবিধান লঙ্ঘন করে। সেনা আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করার পর এই বিএনপি দল গঠন হয়েছে। এরা তো ভোট কারচুপি আর ভোট সিল মারা, মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়া—এটা তো তাদের চরিত্র। সেই সুযোগটা তারা এখন পাচ্ছে না। আমাকে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে, তাই তো? আমি কার কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করব, একটি সন্ত্রাসী দলের কাছে? না। আমার দায়িত্ববোধ রয়েছে আমার জনগণের কাছে। তাঁরা আমাকে গ্রহণ করছে কি করছে না, সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই ভোট গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে কি করছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। গণতন্ত্র ছাড়া আমরা কোনো উন্নয়ন করতে পারব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ তাদের ভোট ও ভাতের অধিকার পেয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়েও ভোট বয়কট করেছিল বিএনপি। এবারে ভোট বয়কটের পাশাপাশি তাঁরা দেশজুড়ে ২ দিনের বনধও ডেকেছে। কিন্তু তারপরেও জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শুরু চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে, তাতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৬৯, আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার ১৪০। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮। এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৯। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৩ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩৬। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকছেন ১১৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ২৪। আর বুথ আছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৮টি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

বাংলাদেশে সাত সকালে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, বাস উল্টে নিহত পাঁচ

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত, দলে জায়গা পেলেন সাকিব

বুবলীর পর থানায় ছুটলেন অপু বিশ্বাস, তাঁর আবার কী অভিযোগ?

পুত্রের পর কন্যাসন্তানের মা হলেন পরীমণি

তাঁর নামে মিথ্যে প্রচার, একাধিক ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বুবলীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর