নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু। আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হবে পদ্মায় যান চলাচল। সেই পদ্মা সেতু নিয়ে শুরুর দিকে সরকারকে বিঁধেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস। বুধবার দুজনকে পাল্টা বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে পদ্মায় ফেলে দেওয়ার কথাও বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিএনপি নেতারা।
বুধবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে নিজের আর্থিক জোরে পদ্মা সেতু তৈরি করতে পারে, সেটা আজ আমরা প্রমাণ করেছি।’ বিদেশি সাহায্য ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে দেশের বিরোধী রাজনীতিবিদদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। সেই সমালোচনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিলেন জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানানো হচ্ছে। ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসরও একই কথা বলেছিলেন। এখন করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে পদ্মায় ফেলে দেওয়া উচিত।’
শুধু খালেদা জিয়া নন, পদ্মা সেতুর নির্মাণের বিরোধিতা করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ তথা মৌলবাদী সংগঠন জামায়েত ইসলামির কট্টর সমর্থক মুহাম্মদ ইউনুস। অভিযোগ, তার কলকাঠি নাড়ার ফলে প্রথমে পদ্মা সেতু নির্মাণে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বললেও পরে পিছিয়ে যায় মার্কিন তাঁবেদার হিসেবে পরিচিত বিশ্বব্যাঙ্ক। এদিন জামায়েত সমর্থক ইউনুসকে বিঁধতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যিনি একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকেও পদ্মায় নিয়ে দুটি চোবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।’