নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অপরাধ স্কুল কর্তৃপক্ষের ঠিক করে দেওয়া জুতো পরে না আসা। আর সেই অপরাধে ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির অর্ধ শতাধিক পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক। ওই বেনজির কাণ্ডের কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চাপের মুখে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে স্কুলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা। যদিও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অবশ্য পড়ুয়াদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পোশাক বিধি পালনের নামে কার্যত পড়ুয়াদের উপরে মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক। এদিন সকালে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সময়ে শিক্ষার্থীদের পোশাক ও জুতা চেক করা হয়। বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার পায়ে নির্ধারিত জুতো না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে গিয়ে কান্নাকাটি করলে বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুল গেটে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। চাপে পড়ে অবশ্য বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছা খুশিমতো সব সিদ্ধান্ত নেন প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিক। তিনি ও তাঁর স্ত্রী শিখা বণিক মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সবাইকে তাই মানতে হবে। এর আগেও দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। সামান্য জুতো পরে না আসায় পড়ুয়াদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী আধিকারিক রুমানা আক্তার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবে মাত্র খুলেছে। এই সময়ে এতো কঠোর হওয়া উচিত হয়নি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।