নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: দলের জন্য প্রয়াত ডাকাবুকো নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘাম ঝরানো লড়াই ভুলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রয়াত নেতার স্ত্রী তথা দু’বারের সাংসদ জয়া সেনগুপ্তের পরিবর্তে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে প্রার্থী করেছেন দেশের পুলিশ প্রধানের ছোট ভাই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ কে। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুরঞ্জিত পত্নী। আর তাঁর ওই সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের অন্দরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় বরাবরই ডাকসাইটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দীপ্ত করত। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যুর পরে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন সুরঞ্জিত জায়া জয়া সেনগুপ্ত। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি সংসদ সদস্য হন। তবে এবার আর দলের মনোনয়ন পাননি।
জয়া সেনগুপ্তের প্রতি শেখ হাসিনার এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য প্রিয় নেতার স্ত্রীকে অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধ মেনেই নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জয়া সেনগুপ্ত। বুধবার দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে সুরঞ্জিত জায়া বলেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এলাকা হিসেবে সাধারণ মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত রাখতে আমি ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দিরাই- শাল্লার বিপুল সংখ্যক মানুষের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানাতেই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
