আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লুকোচুরি খেলা শেষ। পুলিশের জালে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু ও কলেজ ছাত্রী হত্যার মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্ত একজন শার্প শুটার এবং ভাড়াটে খুনি। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কমকরেও পাঁচ থেকে সাতজন জড়িত। তাদের মধ্যে এই তরুণ অন্য়তম। এরা সকলেই শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন জিসান, ফ্রিডম মানিকের ঘনিষ্ঠ এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ক্যাডার বাহিনীর সদস্য। তাদের হাতে এর আগেও অনেকে খুন হয়েছেন। মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ায় প্রশাসন অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
জাহিদুল ইসলাম টিপু গত ১০ বছর ধরে বৃহত্তম মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্যও ছিলেন টিপু। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া দশটা নাগাদ শাজাহানপুর ইসলামী ব্যাঙ্কের সামনে টিপুর গাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকজন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার তাঁর স্ত্রী শাজাহানপুর থানায় মামলা রুজু করেন।
খুনের পরে পরে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দেখা যায়, বুকের সামনে ব্যাগ আর হেলমেট পরা এক যুবক মোটরসাইকেল থেকে নেমে মাইক্রোবাসের সামনের সিটে বসা টিপুর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান। রাস্তা ফাঁকা থাকায় ঘটনাস্থল থেকে তারা দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ঘটনার পরে পরে পুলিশ টিপুর খোঁজ শুরু কর। অবশেষ রবিবার তারা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন ঢাকায় প্রকাশ্যে শুটআউট, এলোপাতাড়ি গুলিতে খুন শাসকদলের নেতা-সহ ২