নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: এ যেন অনেকটাই উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেনের ‘সবার উপরে’ সিনেমার ছবি বিশ্বাসের গল্প। মিথ্যে খুনের অপরাধে ১২ বছর জেলে কাটিয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন ছবি বিশ্বাস। মুক্তি পেয়ে আদালতের কাছে তাঁর জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া বছরগুলি ফেরত চেয়েছিলেন। তবে ছবি বিশ্বাসের পথে হাঁটেননি রাজশাহীর গোদাবাড়ির বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বাবু ও সোনাদি। ১৪ বছর জেলের কনডেম সেলে থেকে মৃত্যুর দিন গোনার পরে আচমকা মুক্তি আদেশ তাঁদের মুখের ভাষা-ই কেড়ে নিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর আগে ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর রাজশাহীর (Rajshahi) গোদাগাড়ীতে খুন হন মিলিয়ারা খাতুন (Miliara Khatun) ও তার মেয়ে পারভীন (Parveen)। মা-মেয়ের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ইসমাইল হোসেন বাবু, সোনাদি ও রিকুলকে। ২০০৮ সালে তিন জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালতের বিচারক। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স এবং মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে (High Court) পাঠানো হয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিন ফাঁসির আসামি। কিন্তু শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা। শেষ পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হন তিন জন।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি (Chief Justice Of Bangladesh) হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর (Hasan Fayez Siddique) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের (High Court) রায় বাতিল করে ইসমাইল হোসেন বাবু (Ismail Hossain Babu) ও সোনাদি (sonadi)-কে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। আর তরিকুল ইসলামের (Tarikul Islam) মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty) বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Sentence) দিয়েছে।