এই মুহূর্তে




‘আওয়ামী লীগকে উ‍ৎখাত করব’, হিযবুত তাহরীর মঞ্চে হুঙ্কার গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের মাটি থেকে  উ‍ৎখাত করতেই ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না।’ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর সমাবেশে হাজির হয়ে এমনই হুঙ্কার ছেড়েছেন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান। একই সঙ্গে হাসিনা জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুঠপাট চালাতে যাওয়া  হিযবুত জঙ্গিদের গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করতে না পারার জন্য প্রকাশ্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই গাজীপুরের পুলিশ কমিশনারের ওই মন্তব্য নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। একসময়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ‘সশস্ত্র ক্যাডার’ হিসাবে পরিচিত নাজমুল করিমকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘হিযবুত তাহরীর সঙ্গে নাজিমুলের ঘনিষ্ঠতা থাকতেই পারে। কিন্তু উর্দি গায়ে ওই জঙ্গিদের সমাবেশে হাজির হয়ে সংবিধান দেশদ্রোহী কাজ করেছেন।’ কেন তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নাজমুল জবাব দেন, ‘বেশ করেছি।’

গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে অবশ্য প্রথমবার প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় তাণ্ডব চালানো হিযবুত তাহরীর জঙ্গিদের। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে লুটতরাজ চালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনি খেতে হয় হিযবুত জঙ্গিদের। শেষ পর্যন্ত হিযবুত জঙ্গিদের গিয়ে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী। ওই প্রতিরোধেই সিঁদূরে মেঘ দেখে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে রাজাকার বাহিনীর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তথা জামায়াত ইসলামীর মজলিশ সুরা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তিনি দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সত্বর নিধন করার নির্দেশ দেন। যৌথবাহিনী গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার এবং প্রয়োজনে এনকাউন্টার করার নির্দেশ দেন।

শুক্রবার রাতে লুঠতরাজ চালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনি খাওয়াকে মেনে নিতে পারেননি হিযবুত তাহরীর শীর্ষ নেতা হাসনাত আবদুল্লা-সারজিস আলমরা। এদিন কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে রাজধানী ঢাকা থেকে কয়েকশো হিযবুত জঙ্গি নিয়ে গাজিপুরে হাজির হন তারা। তবে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যাওয়ার হিম্ম‍ৎ দেখাননি। গাজীপুর সহরের রাজবাড়ি সড়কে অবস্থান করেন হিযবুত জঙ্গিরা। সেখানেই হাজির হন হিযবুতের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তথা গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান। জঙ্গি জমায়েতে ভাষণও দেন তিনি। ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথমে সতীর্থ জঙ্গিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘গতকাল রাতে আমাদের ভাইদের (পড়ুন হিযবুত তাহরীর জঙ্গিদের) রক্ষা করতে না পারার জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। হামলাকারী আওয়ামী লীগের কাউকে ছাড়া হবে না, প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হবে।’

এর পরেই মোল্লা ইউনূস সরকারের আওয়ামী লীগ নিধন যজ্ঞের জন্য নেওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা অত্যাচার করেছে, জুলুম করেছে তাদের আর বরদাস্ত করা হবে না। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার জন্য ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করা হবে। আপনাদের বলছি, আওয়ামী লীগ দেখলেই ধরে আমার হাতে দিন। তার পর তার কী হাল করব দেখবেন।’ ভাষণ শেষে ‘জামায়াত ইসলামী জিন্দাবাদ’, ‘হিযবুত তাহরীর দীর্ঘজীবী হোক’ শ্লোগানও দেন গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই, জানিয়ে দিলেন ইউনূস

বাংলাদেশে কাঁকড়ার ব্যবসা করবেন ট্রাম্প,লাইসেন্স মঞ্জুর করল ইউনূস সরকার

বঙ্গবন্ধুর কবরে শ্রদ্ধা জানানোর অপরাধে অপসারিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি

হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে ‘শহিদ’ বাবা, ইউনূস জমানায় গণধর্ষণের শিকার মেয়ে

পড়ানোর অছিলায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ, ‘নরপিশাচ’ গৃহশিক্ষককে চরম সাজা আদালতের

‘রাজধর্ম’ পালন না করতে পারলে সরে দাঁড়ান, ইউনূসকে কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর