প্রতিমা চলে গিয়েছে। ফিকে ঢাকের বাদ্যি। মণ্ডপ জুড়ে ধুনোর গন্ধ। পিছন থেকে ভেসে আসে ছাতিমের ঘ্রাণ। জাগ হাঁড়ি আগলে বসে আছি একেলা আমি।
আলো-আঁধারি। হাওয়া খেলে যায় প্রদীপ শিখার ওপর। কেঁপে উঠি আমি আর বিষাদের সুর।
শোনা যায় নূপুরের ধ্বনি। ছাতিমের গন্ধ নিয়ে ঢোকে কোনও এক ছায়া। আলতা বোলানো লক্ষ্মী দেবীর মতো পা। রুনুঝুনু স্বর কাছে আসে। কাছে আসে তীব্র ছাতিমের ঘ্রাণ।
লক্ষ্মী আসতে এখনও কয়েকদিনের দেরি। পাশে এসে দাঁড়িয়েছে রূপসী। আলো-আঁধারিতে বেশ বোঝা যায় স্নিগ্ধ হাসি খানি তার।
কোনও এক বিজয়ায় (BIJOYA) আগেও এসেছিল সে। মণ্ডপ ছড়ানো ধুনোর গন্ধে ছাতিমের গোছা হাতে ছুঁয়েছিল ঠোঁট। সে গিয়েছিল চলে, যেমন সকলেই যায়। তবু প্রতিবার জাগহাঁড়ি আগলিয়ে থাকি।
আলো-আঁধারি। ছাতিম গন্ধ, সেই প্রথম ভালোবেসে যাওয়া। আজ আবার এত বছর পর কেন এলে? জানি উত্তর নেই কোনও। শুধু ছুঁয়ে যাবে রুক্ষ এ ঠোঁট। আলো-আঁধারিতে ফেলে যাবে একা। আর আমি ছাতিমের গন্ধ খুঁজে খুঁজে একা হয়ে যাব বন্ধু মহল থেকে।
–নিসর্গ নির্যাস