নিজস্ব প্রতিনিধি: কল্প মানে কল্পনা। তরু মানে বৃক্ষ। কল্প তো আসলে ইচ্ছে। সেই ইচ্ছেকে যেই গাছ পূর্ণ করে সেই গাছই ‘কল্পতরু’। হিন্দু-বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মে কল্পতরুর কথা উল্লেখ রয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কল্পতরু, মন্দনা, পারিজাত, সন্তান, হরিচন্দন হল কল্পতরু। এই গাছের পার্থিব রূপ হিসেবে কোথাও কোথাও ধরা হয় কাঠগোলাপ এবং ভারতীয় প্রবাল গাছকে।
রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বট, অশ্বত্থ, নারকেল, মহুয়া, চিউর, শামি, তাল, বোরাসাস, তুঁত গাছকে কল্পতরু বৃক্ষ ধরা হয়। রাজস্থানের আজমেরের দু’টি গাছকেও ‘কল্পতরু’ বলে ধরা হয়। এছাড়াও উল্লেখ পাওয়া যায় কল্পলতা’র।
কাশিপুর উদ্যানবাটী, রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশন, বেদান্ত সোসাইটি, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে কল্পতরু উৎসব পালন করা হয়। রামকৃষ্ণ (RAMAKRISHNA) পরমহংসদেব শেষ জীবনে ছিলেন কাশিপুর উদ্যানবাটীতে। দীর্ঘ অসুস্থতার মাঝে তিনি সুস্থ বোধ করেছিলেন একদিন। দিনটা ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি। ওই দিন তিনি ছিলেন গৃহস্থ শিষ্যদের সঙ্গে। কথিত আছে, ওই দিন তিনি নাট্যকার গিরিশচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে কথাও বলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাদের চৈতন্য হোক’। এরপরে সমাধিস্থ হয়ে প্রত্যেক শিষ্যদের স্পর্শ করেছিলেন তিনি। এই দিনটি’ই কল্পতরু দিবস হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীকালে এই দিনটি হয়ে ওঠে কল্পতরু উৎসব। ভক্তদের বিশ্বাস, তিনিই ইচ্ছে পূরণ করেন। তিনি যেন সাক্ষাৎ কল্পতরু।