নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ মহাসপ্তমী। এই দিনে পুজোতে কী কী হয় জেনে নিন। এই দিন থেকেই বিগ্রহকে পুজো করা শুরু হয়। দেবী দুর্গার পাশে রাখা হয় কলা বউ।
মহাষষ্ঠীর দিনে বেলগাছ বা বেল শাখাকে পুজো করা হয়। দেবী দুর্গার (DURGA) বোধন ও অধিবাস প্রক্রিয়া চলে ষষ্ঠীতে। করা হয় চণ্ডীপাঠ। পরের দিন মহাসপ্তমী। এই দিনে সেই বেল গাছের চিহ্নিত শাখা বা ডালকে নিয়ে আসা হয় বিগ্রহ আরাধনার স্থলে। তারপরে যাওয়া হয় কলবউ স্নানে। কাঁসর, ঢাক, ঘণ্টা বাজিয়ে কলা বউ স্নান করানো হয়। তারপরে পরানো হয় নতুন শাড়ি। ঘটে জল পূর্ণ করে কলা বউ এবং ঘট নিয়ে আসা হয় পূজার্চনাস্থলে। এই কলা বউ’ই দেবী দুর্গা। তাঁকে ‘গণেশ জননী’ বলা হয় বলে গণেশের ডান পাশে রাখা হয় কলা বউ’কে। করা হয় ঘট প্রতিস্থাপন, চক্ষুদান, প্রাণপ্রতিষ্ঠা।
হয় সপ্তম্যাদী কল্পারম্ভ এবং সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্তা। উল্লেখ্য, ষষ্ঠীতে পূজিতা হন দেবী কাত্যায়নী। এক মতে, এই রূপ ধারণ করেই দেবী বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে। আর সপ্তমীতে পূজিতা হন দেবী কালরাত্রি। কৃষ্ণবর্ণা এই দেবী, দুর্গার উগ্র রূপ। এই রূপে দেবী বধ করেছিলেন শুম্ভ এবং নিশুম্ভকে।
প্রসঙ্গত, কলা পাতার মধ্যে থাকে ৮টি পাতা। তাই কলা বউকে বলা হয় নবপত্রিকা। কলাপাতা সবচেয়ে বড় বলে, তার ভেতরেই রাখা হয় বাকি ৮টি পাতাকে। এই ৯টি পাতা আসলে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ। বাকি ৮টি পাতা- হলুদ, কচু, বেল, জয়ন্তী, অশোক, ডালিম, ধান এবং মান। আর সব পাতাকে বাঁধা হয় সাদা অপরাজিতার লতা দিয়ে।
কলা পাতা মানে দেবী ব্রহ্মাণী, হলুদ পাতে মানে দেবী উমা, কচু পাতা মানে দেবী কালিকা, বেল পাতা মানে দেবী শিবা, জয়ন্তী পাতা মানে দেবী কার্তিকী এবং অশোক পাতা মানে দেবী শোকরহিতা, ডালিমপাতা মানে দেবী রক্তদন্তিকা, ধানপাতা মানে লক্ষ্মী আর মান পাতা মানে দেবী চণ্ডিকা। গাছের বদলে পুজোস্থলে পাতা ও শিষ ব্যবহার করা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী, বিভিন্ন গাছে অধিষ্ঠান করেন দেবী মহামায়ার বিভিন্ন রূপ। কারণ দেবী যে শাকম্ভরী। তিনি মানেই শস্যশ্যামলা।