নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে প্রথম দু’দফার ভোটের পরে আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফুটছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে উপড়ে ফেলা গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে তৃতীয় দফার ভোটের আগে সুর আরও চড়িয়েছেন। শনিবার দুবরাজপুরের সভা থেকে পদ্ম শিবিরকে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমজনতার কাছে তাঁর আর্জি, ‘এত জোরে তৃণমূলের বোতাম টিপুন, যাতে দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়। টালমাটাল হয়ে যায় বিজেপি সরকারের গদি। পদ্মফুল চোখে সর্ষেফুল দেখে।’
আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় বীরভূম ও বোলপুর আসনে ভোট। আর এদিন বীরভূমের দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে দুবরাজপুরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে না ইস্যুতে আক্রমণ করেন তিনি। মোদি সরকার যে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি নিয়েছে তার সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিজেপির ইস্তাহারে বলা হচ্ছে, পাঁচ বছরে এক বার আপনি ভোট দেবেন। এই ভোটই আপনাদের জীবনের শেষ ভোট হতে পারে। ক্ষমতায় ফের ফিরলে এর পর হয়তো ওরা সংবিধান পাল্টে দেবে। আপনাদের অধিকার কেড়ে নেবে। তাই ১৩ মে প্রতিবাদের, প্রতিরোধের, প্রতিশোধের ভোট। বিজেপিকে উৎখাত করতে হবে, এমন সংকল্প নিয়ে বুথে-বুথে যান। তৃণমূলের বোতাম এত জোরে টিপুন, যাতে দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পে চোখে সর্ষেফুল দেখেন বিজেপি নেতারা।’
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির কলমের খোঁচায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের। অযোগ্য শিক্ষকদের পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষকরা কাজ হারিয়ে পথে বসেছেন। এদিন চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রসঙ্গে টেনেও বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি। তাঁর কথায়, ‘তর্কের খাতিরে মেনে নিচ্ছি কিছু লোক দুর্নীতি করেছেন। অন্যায় করেছেন। কিন্তু যে ২৬ হাজার শিক্ষক কাজ হারিয়েছেন তার মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ মেধাবী। মমতা চাকরি দিচ্ছেন আর মোদি চাকরি নিয়ে যাচ্ছেন।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এদিনের সভায় কলকাতা হাইকোর্টের সরাসরি নাম না নিলেও বিচারপতিদের সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্রের কথাই পরোক্ষে বলেছেন অভিষেক।