নিজস্ব প্রতিনিধি: সবাই অপেক্ষা করছিল এই মুহুর্তটার জন্য। কখন সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) গতকালের সিবিআইয়ের(CBI) অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মুখ তিনি খুললেন, আর সেটা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আসানসোল মহকুমার কুলটি থেকে। এদিন কুলটির কিশোর সঙ্ঘের মাঠে ছিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে তৃণমূলের জনসভা। আর সেই সভা থেকেই গতকালের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোটা ঘটনাটিকে তিনি গেরুয়া শিবিরের ষড়যন্ত্র হিসাবেই তুলে ধরেন। এদিন তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। কেন চকোলেট বোমা ফাটলেও সিবিআই, এনএসজির(NSG) দরকার পড়ে? যেন যুদ্ধ হচ্ছে। পুলিশকে জানানো হয়নি। এক তরফা হয়েছে। যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা কোথা থেকে এল তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। হয়তো আগে থেকে নিজেরাই ওখানে রেখে এসেছে। কী কী পাওয়া গিয়েছে জানা যায়নি। এটাও তো হতে পারে ওরাই গাড়িতে করে নিয়ে এসেছিল। আজকে শুনলাম সন্দেশখালির বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা জমা রয়েছে। মনে করছে বোমা রেখে আর চাকরি খেয়ে জিতে যাবে।’
এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে দাবি করেছিলেন, ‘বিজেপি(BJP)-র ডুবন্ত জাহাজকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সাধারণ মানুষের জয় অবশ্যম্ভাবী।’ এদিন কুলটির সভা থেকেও তিনি সেই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েই বলেন, ‘বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরবে না। দুই দফার নির্বাচনের পরেই ঘাবড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা বোঝা যাচ্ছে। বিজেপি কিছুতেই জিততে পারবে না। ভোটের বাংলায় আতঙ্ক তৈরির ছক কষছে বিজেপি। অর্থ ও পেশিশক্তি প্রয়োগ করে ভোটে খেলা ঘোরাতে চাইছে। কিন্তু শুনে রাখুন মোবা মেরে আর চাকরি খেয়ে এবারে আর ভোটে জিততে পারবে না বিজেপি। ভোটের পরে দিল্লিতে INDIA জোটের সরতকার হবে দিল্লিতে, আর আমরা বাংলা থেকেই সেই সরকারের নেতৃত্ব দেব। বিজেপির সরকার দেশভাগ করতে চায়, দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে, ধর্ম, মানুষ, জাতি বিক্রি করে দিচ্ছে। বিজেপির মতো জুমলাবাজ পার্টি দেখিনি এর আগে। এত মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রীও আমি আগে কখনও দেখিনি। শুধু বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করেন। গতকাল মোদি বলেছেন, বাংলায় তৃণমূলের জন্য উন্নয়ন থেমে গিয়েছে। শুনে রাখুন ভারতের জিডিপি ৮.৮৭ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ১১.৮৪ শতাংশ। আপনি আগে পদত্যাগ করুন। তার পর এ সব বলুন।’