নিজস্ব প্রতিনিধি: সুভাষ চন্দ্র বসু (NETAJI SUBHAS CHANDRA BOSE) পড়তেন কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপিয়ান স্কুলে। স্কুল জুড়ে ইউরোপিয়ান কালচার। উল্লেখ্য, তখন ওড়িশা ছিল বাংলার অন্তর্ভুক্ত। তবে ওই স্কুল সেভাবে মন কাড়েনি সুভাষের। ১৯০২ সালে ভর্তি হওয়া সেই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে পরে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বাংলা মাধ্যমের স্কুলে।
১৯০৯ সাল। তখন বয়স ১২। ছোট্ট সুভাষকে ভর্তি করা হয়েছিল র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। আগের স্কুলে পড়ানো হতো লাতিন, ব্রিটিশ বিষয়ক পাঠ, বাইবেল। এমনকী ইতিহাস, ভূগোলেও ব্রিটিশ। ভারতীয় ভাষা শেখার সুযোগ ছিল না। তবে নতুন স্কুলে পাঠ্য বিষয় ছিল বাংলা, সংস্কৃত, বেদ, উপনিষদ। তিনি স্কুলে যেতেন ভারতীয় পোশাক পরেই। আগের স্কুলে যেহেতু বাংলা জানার সুযোগ ছিল না, তাই খুব বেশি বাংলায় পারদর্শী ছিলেন না সুভাষ। তা নিয়ে তাঁকে শুনতে হত ব্যঙ্গ। এমনকী সহপাঠীরাও তাঁকে কটাক্ষ করত।
সেই উপহাস সকলের অজান্তেই জেদ চাপিয়ে দিয়েছিল ছোট্ট সুভাষের ওপরে। বাংলা শেখায় জোর দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় মনোযোগ দিয়েছিলেন সংস্কৃত পাঠেও। এরপরে সকল সহপাঠীকে ছাপিয়ে গিয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ‘ক্লাস টপার’ হয়েছিলেন সুভাষ। এই স্কুলে তাঁর প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বেণীমাধব দাস।