নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই মিলছে স্বস্তি। করোনার করাল থাবা থেকে মুক্ত হওয়ার পথে ক্রমশই এগোচ্ছে রাজ্য। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় যেমন দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে, তেমনই কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে টানা চারদিন রাজ্যে থমকে দাঁড়াল মারণ ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল। সংক্রমণ হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেটও আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশে। টানা চারদিন যেমন রাজ্যে করোনায় কারও প্রাণ যায়নি, তেমনই কালিম্পং জেলায় টানা তিনদিন নতুন করে কেউ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে। একদিনে নতুন করে ২৩ হাজার ২৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশে। যার ফলে নতুন করে আরও ১০২ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৭২ জনে। নতুন করে কারও মৃত্যু না হওয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ২১ হাজার ১৭৮-এ থমকে রয়েছে।’
স্বস্তির খবর মিলেছে পাহাড়ি জেলা কালিম্পং থেকে। গত ২৪ ঘন্টায় ওই জেলায় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। এ নিয়ে টানা তিনদিন কোভিড-মুক্ত থাকল জেলাটি। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যুগ্মভাবে শীর্ষে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘন্টায় দুই জেলাতেই নতুন করে আরও ১৮ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ জন।
দৈনিক সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু যেমন স্বস্তি দিচ্ছে, তেমনই স্বস্তি দিচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হারও। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৪৮ জন। এ নিয়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হলেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৯১ জন। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৪৬টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০৩ জনে।’