আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক প্রজাতি ওমিক্রন। ক্রমশই বাড়ছে সংক্রমণ। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য দেড় শতাধিক দেশের নাগরিকদের ট্রানজিট বাতিল করল হংকং প্রশাসন। শুক্রবার এক নির্দেশে হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী রবিবার থেকে নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। এক মাসের জন্য বলবৎ থাকবে নির্দেশ। তালিকায় ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশের নাম রয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে চিন শাসিত বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে। ফলে প্রমাদ গুনছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। চলতি মাসের শুরুতেই কঠোর বিধিনিষেধ জারি হয়েছিল। আটটি দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বাতিলের পাশাপাশি পানশালা-জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী রাতে রেস্তোরাঁয় গিয়ে নৈশভোজের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
সম্প্রতি বিশ্বের যে সব দেশে মারণ ভাইরাস দাপট দেখিয়ে চলেছে, সেই সব দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ভারত ও পাকিস্তানের নাম ছিল। পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে হংকং প্রশাসন। এতে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশের নাম রয়েছে।
শুক্রবার হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, শহরটিতে এবার ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হতে পারে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন। তাই একাধিক বিধিনিষেধ আরোপের পথে হাঁটতে হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যবসায়িক কেন্দ্রে যেভাবে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত নেমে আসতে পারে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।