নিজস্ব প্রতিনিধি, বেনাপোল: মূর্তিমান ত্রাস হয়ে ওঠা ওমিক্রন সংক্রমণ রুখতে এবার বাংলাদেশি পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল পেট্রাপোল স্থল বন্দরের ভারতীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ ডিসেম্বর এক বিশেষ নির্দেশিকায় ভারতীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে যাঁদের স্টুডেন্টস ভিসা রয়েছে, তাঁরা আপাতত দেশে ঢুকতে পারবেন না।’ শুধুমাত্র যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে।’ ভারতীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন ভারতে অধ্যয়নরত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। যদিও এ বিষয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের কোনও আধিকারিকই মুখ খোলেননি।
বুধবার বেনাপোল স্থল বন্দরের অভিবাসন দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মীর মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘গড়ে দিনে ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী স্টুডেন্টস ভিসায় পেট্রোপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সব স্টুডেন্টস ভিসাধারীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে যেসব শিক্ষার্থীর দুই-এক দিনের মধ্যে পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদের প্রমাণ সাপেক্ষে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পাঁচদিনে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদের প্রামাণ্য নথি আগে পেট্রাপোল সীমান্তের অভিবাসন আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা সবুজসঙ্কেত দিলেও বহির্গমন সিল মারা হচ্ছে পাসপোর্টে।’
অন্যদিকে, এদিন থেকেই ভারত ফেরত যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। যার ফলে ভারত ফেরত যাত্রীদের এখন আর বেনাপোল ও যশোরের আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। পরিবর্তে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা ৩৩২ জন যাত্রীকে আরটি পিসিআর টেস্টের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।