নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় যত গড়াচ্ছে ততই রাজ্যে নিম্নমুখী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ চারশোর গণ্ডির নিচে নেমে এসেছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ২৩ জন। স্বস্তি দিয়েছে শনাক্তের হারও। গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ২৯ শতাংশে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।
সোমবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে ২৪ হাজার ৭৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ২৯ শতাংশে। যার ফলে আরও ৩২০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১১ হাজার ২২১ জনে। মারণ ভাইরাস কেড়েছে আরও ২৩ প্রাণ। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২১ হাজার ৪০ জন।’
সবচেয়ে স্বস্তির হলো, রাজ্যের সব জেলাতেই করোনার দৈনিক সংক্রমণ একশোর গণ্ডির নিচে। গত ২৪ ঘন্টায় কালিম্পংয়ে মাত্র একজনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯ জন আর মারা গিয়েছেন নয়জন। কলকাতা মহানগরীতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন আর মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন চারজন।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, ‘ক্রমশই করোনার করাল থাবা থেকে মুক্ত হচ্ছে রাজ্য। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩১৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হলেন ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৫ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে এক হাজার ১৭টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬২৬ জনে।’