নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে আরও ঊর্ধ্বমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৫ জন। পাশাপাশি অ্যাকটিভ কেসের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তবে দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হলেও সামান্য স্বস্তি দিয়েছে শনাক্তের হার। আগের দিনের তুলনায় পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশে। নতুন করে কারও প্রাণহানি না হওয়ায় টানা সাতদিন করোনায় মৃত্যুহীন দিন কাটাল বাংলা।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে ফের বেলাগাম তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যদিও বাংলায় প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ যথেষ্টই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ফের দৈনিক সংক্রমণ পঞ্চাশের গণ্ডি ছাড়ানোয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অশনিসঙ্কেত দেখছেন। শনিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করোনার দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। নতুন করে ১৩ হাজার ৬৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। যার ফলে নতুন করে ৫৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৬০ জনে। তবে নতুন করে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ফলে মৃতের সংক্যা ২১ হাজার ২০১ জনে থমকে রয়েছে।’
দৈনিক সুস্থতার হারও যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৯৩ শতাংশেই রয়েছে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে ৩১টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জন। তার মধ্যে মাত্র ২১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’