নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ার ফলে রাজ্যে আরও বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৭ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। তবে স্বস্তি দিয়েছে শনাক্তের হার। আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টাথ আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। একদিনে নতুন করে আরও ৬৭ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশে। নতুন করে আরও ১১ হাজার ৪৪৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৬১ জনে। পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ১৯৩ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ‘দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে যথারীতি শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৫৪ জন। আর মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন ১৪ জন। কলকাতার পরেই সংক্রমণের নিরিখে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে আটজনের। হাওড়া ও হুগলিতে দৈনিক সংক্রমণ ফের পাঁচশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। হাওড়াতে গত ২৪ ঘন্টায় ৫১৩ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। হুগলিতে ৫৪৫ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮৮ জন।’
সুস্থতার হার অবশ্য আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪১৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ দশমিক ০৯ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার বেশি হওয়ায় একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ৪ হাজার ৯টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংক্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ৭০২ জনে।’