নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: হরিয়ানায় বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত ১৯ জন। গ্রামবাসীরা মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পুলিশ এক কংগ্রেস নেতার ছেলে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েকদিনে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে আম্বালা জেলার যমুনানগরের মান্দেবাড়ি, পাঞ্জেতো কা মাজরা, ফুসগড় এবং সারান। বিষ মদে ১৯ জনের মৃত্যুর পরেই মনোহরলাল খট্টর সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিক বৃহস্পতিবার আম্বালা জেলায় অবৈধভাবে তৈরি সন্দেহজনক নকল মদ খাওয়ার পরে মারা গিয়েছে। আম্বালার একটি পরিত্যক্ত কারখানায় তৈরি ২০০ ক্রেট জাল মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪টি খালি ড্রাম এবং অবৈধ মদ তৈরিতে ব্যবহৃত উপকরণগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যমুনানগর থানার পক্ষ থেকে বিষ মদে মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। তবে গ্রামের মানুষ প্রাণের ভয়ে এই মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রবিন্দর নামে এক ব্যাক্তি জানিয়েছেন, ‘তাঁর বাবা সুরাপানে আসক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি সাধারণত অল্প পরিমাণে সুরা পান পান করতেন। কিন্তু সেই সুরা পানই যে প্রাণ কাড়বে তা ভাবতে পারেননি।’ এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ‘অবৈধ মদ ব্যবসায়ীরা এতটাই ক্ষমতাশালী তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।