নিজস্ব প্রতিনিধি, ইটানগর: চিন-ভারত যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে নয় নয় করে ৬২ বছর। এই ৬২ বছরে কেন্দ্রে বেশ কয়েকবার পালাবদল ঘটেছে। পালাবদলের পাশাপাশি দেশসেবার জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাদের অনেককেই সরকার নানা সম্মান দিয়েছে।
অথচ যে মানুষটা একাই চিনা ড্রাগনের মুখোমুখি দাড়িয়ে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছিল সেই হাবিলদার শেরে থাপাকে কোনও সরকারই কোনও স্বীকৃতি দেয়নি। চলতি বছর গোড়ার দিকে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু তাঁর একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন। আর আগের বছর সেপ্টেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন পূর্ব অরুণাচল সাংসদ তাপির গাও। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন, এই বীর যোদ্ধাকে সরকারের তরফ থেকে মরণোত্তর কোনও পুরষ্কার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। সেই চিঠি আজও ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। এমন একজন লড়াকু যোদ্ধার কপালে জোটেনি কোনও পুরষ্কার।
শেরা থাপা যে কত বড় মাপের সৈনিক ছিলেন সেটা, সামান্য একটি পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট হবে। তিনি একা হাতে ৭৯জন চিন সেনাকে খতম করেছিলেন।এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পদমর্যাদার অফিসার। তাঁর বন্দুকের নিশানায় আহত হয়েছিল দ্বিগুনেরও বেশি। জম্মু-কাশ্মীর রাইফেলসের সেকেন্ড ব্যাটিলিয়নের জওয়ান ছিলেন শেরা থাপা।
শেরা থাপার জন্ম ১৯২৮ সালে। ১৯৪৫-য়ের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৫৬-য়ের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর রেজিমেন্টের বিশেষ বাহিনীর সদস্য ছিলেন। পরের বছর জানুয়ারিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন লাল ফৌজের ষড়যন্ত্রে জল ঢালল ভারতীয় সেনারা! গালওয়ানে উঠল তেরঙ্গা