নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বুধবার চাঁদ স্পর্শ করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। অবতরণের সময় ২০ মিনিট ভারত একটি রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে চলেছে। ল্যান্ডার বিক্রমকে ধীরগতিতে অবতরণ করিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে প্রস্তুত ভারত। তবে এই ২০ মিনিট লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
১ অগস্ট চন্দ্রযান-৩ চাঁদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল। ৫ অগস্ট মহাকাশযানটি ধীরে ধীরে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে স্থিতিশীল হয়। ১৭ অগস্ট প্রোপালশন মডিউল এবং প্রজ্ঞান রোভারের সঙ্গে ল্যান্ডার বিক্রম মহাকাশযান থেকে পৃথক হয়। অবতরণের আগে ল্যান্ডার বিক্রমকে ১৩৪ কিমি বাই ২৫ কিমি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি সফলভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। অবতরণের দিন বিক্রম ২৫ কিমি উচ্চতা থেকে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে নামতে শুরু করবে। প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিমি বেগে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে ছুটতে শুরু করবে যা একটি বিমানের বেগের প্রায় দশগুণ।
বিক্রম ল্যান্ডার তার সমস্ত ইঞ্জিন ফায়ার করার সাথে ধীর হয়ে যাবে। এখন ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠের প্রায় অনুভূমিক। যাকে বলা হয় রুক্ষ ব্রেকিং ফেজ। কিছু কৌশলের মাধ্যমে বিক্রম ল্যান্ডারটিকে চাঁদের পৃষ্ঠে উল্লম্ব করা হবে। শুরু হবে সূক্ষ্ম ব্রেকিং পর্ব।এই পর্যায়টিই কঠিন। এই পর্যায়েই ল্যান্ডার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চন্দ্রযান-২ অবতরণের সময় এমনটাই হয়েছিল।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উপরে অনুভূমিক এবং উল্লম্ব উভয় গতিই শূন্যে আসে। বিক্রম ল্যান্ডার পর্যবেক্ষণ করে চাঁদের পৃষ্ঠের উপরে ঘোরাফেরা করবে। সঠিক স্থানে অবতরণের জন্য চিত্রগুলি নিয়ে ১৫০ মিটারে ঘোরাতে থামতে আরও নীচে নেমে যায়। এরপর মাত্র দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে স্পর্শ করবে। সেন্সরগুলি চন্দ্র পৃষ্ঠ অনুভব করলে ইঞ্জিনগুলি ২০ মিনিটের লড়াই শেষে অবতরণ করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতই হবে চতুর্থ দেশ চাঁদে অবতরণ করবে। এটি ভারতের জন্য এক বিশাল সাফল্য।