নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশ জটিল হচ্ছে ওড়িশার করোনা পরিস্থিতি। প্রতিবেশী এই রাজ্যে স্কুল খোলার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্কুল খোলার পর থেকেই একের পর এক স্কুলে হানা দিচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে একশোরও বেশী স্কুল পড়ুয়ার দেহে করোনার হদিশ মিলেছে। পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে তা কার্যত পরিষ্কার। এমতাবস্থায় রবি সকালে জানা গেল, ওড়িশার আরও একটি দেশের কমপক্ষে ২৫ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫ জন পড়ুয়ার শরীরে এই মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। রবিবার সকালে ওই জেলার প্রধান জেলা চিকিৎসা আধিকারিক ডাঃ পবন মিশ্র এই কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত ওই পড়ুয়াদের কারোর শরীরেই করোনার কোনও লক্ষণ। তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
জানা যাচ্ছে ওই সরকারি স্কুলটিতে প্রায় ২৫৬ জন পড়ুয়া এবং ২০ জন কর্মী রয়েছেন। জেলা সদরের একটি মেডিকেল টিম এবং সাব কালেক্টর ডাঃ রজনীকান্ত বিশওয়াল নিজে রবিবার সকালে ওই স্কুলে পৌঁছেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডাঃ পবন মিশ্র আরও জানিয়েছেন, ‘ওই স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়া দুই দিন ধরে সর্দি, কাশি এবং জ্বরে ভুগছিল। বিষয়টি দেখে আমাদের সন্দেহ হওয়ায় আমরা তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করেছি এবং তাতেই দেখা গিয়েছে ওই স্কুলের ২২ জন পড়ুয়া করোনায় সংক্রামিত হয়েছে। এরপর আরও ৪ জনের শরীরেও করোনার হদিশ মিলেছে।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে কিছু ছাত্র শনিবার পর্যন্ত স্কুলে এসেছিল। মূলত সেই কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, তাঁদের ছোঁয়ায় বাকিদের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে আক্তান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাদের একটি মেডিকেল দল এবং একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে এবং ডাঃ অনিতা সিং নিয়মিত পড়ুয়াদের ওপর নজর রাখছেন। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের প্রথমেই জানা গিয়েছিল স্কুল খোলার পর থেকেই ওড়িশার বিভিন্ন স্কুলের অন্ততপক্ষে ৭০ জন পড়ুয়া এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলগুলির অফলাইন ক্লাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।