নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা থেকে বিরোধী শিবিরের আরও তিন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। বৃহস্পতিবার ‘অভব্য’ আচরণের অভিযোগে তিন সাংসদ দীপক বৈজ, নকুল নাথ ও ডি কে সুরেশকে শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। এ নিয়ে চলতি অধিবেশনে লোকসভা থেকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ১০০ সাংসদকে বের করে দেওয়া হলো। এছাড়াও রাজ্যসভা থেকে আরও ৪৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সবমিলিয়ে বিরোধী শিবিরের মোট ১৪৬ সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংসদে হানা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছিল কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। লোকসভা এবং রাজ্যসভা-দুই কক্ষেই সুর চড়ান তাঁরা। আর তার পরেই সভার কাজে বাধা সৃষ্টি এবং অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ এনে গত সোমবার থেকে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটে শাসক শিবির। সোমবারই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী-সহ একাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। রাজ্যসভা থেকেও সাসপেন্ড হন বিরোধী শিবিরের সাংসদ।
গত মঙ্গলবার ফের লোকসভা থেকে ৫০ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। বুধবার ফের দুই সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। লোকসভা থেকে সাংসদদের সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে এদিন সকালেই সংসদ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিরতোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, লোকসভা ও রাজ্যসভা থেকে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে গণতন্ত্রকেই হত্যা করা হয়েছে। বিরোধী জোটের মিছিলের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরও তিন কংগ্রেস সাংসদকে লোকসভা থেকে বের করে দেওয়ার পথেই হাঁটল শাসক বিজেপি।