এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে, আশাবাদী রামধনু পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটা সময় ছিল দেশে যখন দুটো ছেলে বা দুটো মেয়ে প্রকাশ্যে চুমু খেতে পারত না একে অপরকে। বলতে পারত না সোচ্চারে, ‘আমি তোমায় ভালবাসি’। ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সেই ছবিটাই বদলে দিয়েছে। এখন দুটো ছেলে বা দুটো মেয়ে হাতে হাত ধরে হাঁটতে পারে প্রকাশ্যে, জড়িয়ে ধরতে পারে সবার সামনেই, আর সোচ্চারে সবাইকে জানাতেই পারে, Yes I Love You। কেননা সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) ওইদিনেই সমকামিতাকে অপরাধের তকমা থেকে মুক্ত করে দিয়েছে। স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে রামধনু পরিবারকে(Rainbow Family)। সেদিন চোখের জলের বাঁধ ভেঙেছিল রামধনু পরিবারের। নেমে এসেছিল অকাল বসন্ত। আবারও একটা অকাল বসন্তের ইশারা মিলল শীতের দুপুরে। দেশের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিবাহের(Same Sex Marriage) আইনি স্বীকৃতি চেয়ে দায়ের হওয়া এক মামলা শুনতে রাজি হয়েছে। অনেক পথ এখনও হাঁটা বাকি, তবুও খুশি রামধনু পরিবার।

২০১৮ সালের পর থেকে দেশে রামধনু পরিবারের ছবিটা অনেক বদলেছে। রামধনু পরিবার মানে LGBTQ গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি দেশের সব মানুষের ঘৃণ্য ও অপরাধমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়নি। কিন্তু প্রকাশ্যে অপমান, ইচ্ছাকৃত হেনস্থা ও নির্যাতন কিছুটা হলেও কমেছে। অনেকেই এগিয়ে এসেছেন সাহায্য ও ভালবাসার হাত নিয়ে। অনেক পুরুষই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে অন্য পুরুষকে বিয়ে করেছেন। মেয়েদের বিয়েটা যদিও এখনও অনেক কম। তবে নানা সমীক্ষা ও ঘটনা বলছে অপরাধের তকমা সরে যেতেই অনেক নারীই তাঁর জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিতে পিছু পা হচ্ছেন না। এমনকি একসঙ্গে থাকতে তাঁরা কোথাও কোথাও আদালতের দ্বারস্থও হচ্ছেন। জিতেও যাচ্ছেন সেই সব মামলায়। কিন্তু বিয়ের আইননি স্বীকৃতি না থাকায় দেশের আর পাঁচটা দম্পতি যে সব সুযোগসুবিধা পায় তার কিছুই তাঁরা পাচ্ছিলেন না। আবার অনেকে বিয়ে করতে পারছিলেন না শুধু এটার জন্যই যে এই বিয়ের আইনি স্বীকৃতিটা নেই। সেখানেই এবার আশার আলো দেখালেন এক বাঙালি যুবক ও তাঁর জীবনসঙ্গী।

সুপ্রিয় চক্রবর্তী আর অভয় ঢ্যাং। এই দুই যুবকই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। নিজেদের বিয়েটা তাঁরা সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন অনেক আগেই। ১০ বছর ধরে তাঁরা লিভ ইন করছেন হয়দরাবাদে। কিন্তু বিয়ে করতে পারছেন না সমপ্রেম বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নেই বলে। কেন নেই? কেনই বা তা পাওয়া যাবে না? সেটা জানতে চেয়েই তাঁরা মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। অরুন্ধতী কাটজু ও সৃষ্টি বড়ঠাকুর তাঁদের হয়ে মামলা লড়ছেন। আর সেই মামলার পথে তাঁদের সাহায্য করছেন নীরজ কিষাণ কল ও মেনকা গুরুস্বামী। মামলায় আর্জি জানানো হয়েছে সুপ্রিয় ও অভয়ের বিয়েকে ‘স্পেশাল ম্যারেজ আইনে’র আওতায় স্বীকৃতি দিতে। যদি এই বিয়ে আইনি স্বীকৃতি পেয়ে যায় তাহলে কিন্তু দেশের রামধনু পরিবারের কাছে বিশাল একটা দরজা খুলে যাবে। প্রেমের অধিকার থাকলে, বিয়ের অধিকারই বা থাকবে না কেন? সুপ্রিয়দের মামলা শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের মতামত কী তা জানতে চেয়েও সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠিয়েছে মোদি সরকারকে(Modi Government)। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়(Chief Justice D Y Chandrachur) এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোদি সরকার এর আগেও বহুবার এই ধরনের মামলায় জানিয়েছে, তাঁরা এই ধরনের বিয়ের বিরুদ্ধে। তাতে মত দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেন না তাঁরা। এই ধরনের বিয়ে নাকি ভারতীয় সমাজব্যবস্থার বিরোধী ও হানিকারক। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তা নাকি দেশের তরুণ প্রজন্ম, মহিলা ও কিশোর প্রজন্মের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। আর এখানেই পাল্টা প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টও কী এইসব ভাবে! আপাতত শুধুই অপেক্ষা। আশার আলোর দিকে তাকিয়ে থাকা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জেডিএস থেকে সাসপেন্ড যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল

চকোলেটের ওপর মিলল ফাঙ্গাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট

তৃতীয় দফায় ধনী প্রার্থী ১,৩৬১ কোটির মালিক, গরিব প্রার্থীর সম্বল মাত্র ১০০ টাকা

দিদির বিয়েতে নাচতে নাচতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী

তৃতীয় দফার ভোটে লড়াইয়ে নামা ১৮ শতাংশ প্রার্থীই ‘দাগি’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর