নিজস্ব প্রতিনিধি: গুরুদুয়ারে বসে মদ্যপান করছেন, এই অভিযোগে এক মহিলাকে গুলিতে ঝাঁঝরা(Shot Dead) করে দিলেন এক ব্যক্তি। গোটা ঘটনাটাই ঘটেছে গুরুদুয়ারের অন্দরেই। আর এই ঘটনা ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পঞ্জাবের(Punjab) পাশাপাশি গোটা দেশে। মৃত মহিলার বিরুদ্ধে গুরুদুয়ারে বসে মদ্যপান করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা কতখানি সঠিক তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তেমনি যিনি গুলি চালিয়েছেন তিনি খলিস্থানী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কার্যত এই ঘটনাকে ঘিরে পঞ্জাবের বুকে ফিরে এসেছে খলিস্থানী আন্দোলনের সন্ত্রাসময় অধ্যায়ের ছবি। ঘটনার জেরে পঞ্জাব পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন খুব শীঘ্রই কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে পঞ্জাবের পাতিয়ালার(Patiala) দুখনিওয়ারান সাহিব গুরুদুয়ারে(Dukhniwarn Sahib Gurdwara) রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত মহিলার নাম পরমিন্দর কওর(Parminder Kaur)। অভিযোগ উঠেছে, পরমিন্দর নাকি গুরুদুয়ারে বসে মদ্যপান করছিলেন। তা নজরে আসে গুরুদুয়ার কর্তৃপক্ষের। তাই তাঁরা তাঁকে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে গুরুদুয়ারের ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু সেই সময়েই গুরুদুয়ারে আসা অপর এক ব্যক্তি যার নাম নির্মলজিৎ সিং(Nirmaljit Singh) তাঁর কোমরে থাকা পিস্তল বের করে পরমিন্দরকে গুলি করতে শুরু করে দেন। মোট ৫বার গুলি চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। সেই সময় গুরুদুয়ার কর্তৃপক্ষের এক ব্যক্তি এগিয়ে এসে নির্মলজিৎয়ের কাছ থেকে পিস্তল কেড়ে নিতে চান। সেই সময় তাঁকেও গুলি করে নির্মলজিৎ। ওই ব্যক্তি অবশ্য গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। গুরুদুয়ার কর্তৃপক্ষ দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি পরমিন্দরকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুলিবিদ্ধ অপর ব্যক্তি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন Jobcard Holders-দের বিকল্প কাজ দিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমেই নির্মলজিৎকে গ্রেফতার করেছে। নির্মলজিৎ ওই গুরুদুয়ার এলাকাতেই থাকেন। নিয়মিত সেখানে আসেনও। তাঁর কাছ থেকে ৩২-বোরের লাইসেন্সড পিস্তল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই বন্দুক দিয়েই তিনি ৫ বার পরমিন্দরকে গুলি করেন। যদিও গ্রেফতারির পরে নির্মলজিৎ জানিয়েছেন ধর্মীয় স্থানকে অপবিত্র করে তোলার জন্য তিনি পরমিন্দরের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে যান। রাগের বশেই তিনি কার্যত গুলি চালিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে নির্মলজিৎ’র বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ নেই তাঁদের কাছে। বাড়ি কেনাবেচাই তাঁর ব্যবসা। তাই তাঁর সঙ্গে গোপনে খলিস্থান আন্দোলনকারীদের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা সেটা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে তেমনি পরমিন্দরের সঙ্গে তাঁর কোনও পুরাতন বিবাদ ছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।