নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যবসায় লোকসান চলছিল। সেই লোকসান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চড়া সুদে বড় অঙ্কের টাকা ধার করেছিলেন গুজরাতের(Gujarat) সুরাট(Surat) জেলার পালানপুর থানার জাকাতনাক রোড এলাকার বাসিন্দা মনীষ সোলাংকি(Manish Solanki)। শনিবার সকালে তাঁদের ফ্ল্যাট যে সিদ্ধেশ্বর অ্যাপার্টমেন্টে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মণীষের ঝুলন্ত দেহ। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী, বাবা-মা এবং ৩ সন্তানেরও নিথর দেহ(Mass Suiside) উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ঋণ পরিশোধে অসমর্থ মণীষ কোনও খাবারে বা পানীয়তে বিষ মিশিয়ে নিজের স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তানদের দিয়েছিলেন। তা খেয়েই মারা যান তাঁরা। তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত হতে মণীষ নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। সব থেকে বড় ঘটনা এটাই যে, এই মর্মান্তিক ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ করা হয় গতকাল রাতে, যা সেই অ্যাপার্টমেন্টের অনান্য বাসিন্দা বা প্রতিবেশীরা কেউই জানতে পাননি।
এদিন মণীষের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে কারও নাম লিখে যাননি মণীষ। তবে লিখে গিয়েছেন, কারও কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়ে তা শোধ করতে না পারায় তিনি পরিবার সমেত আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। তিনি নিজেই জানিয়ে গিয়েছেন, তিনি নিজেই সবাইকে বিষ খাইয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে ৩৭ বছরের মণীষ ছাড়াও মারা গিয়েছেন মণীষের স্ত্রী রীতা সোলাংকি(৩৪), মণীষের মা শোভা সোলাংকি(৬৮), মণীষের বাবা কান্য সোলাংকি(৭২), মণীষের ছেলে বড় ছেলে কাব্য(১০), মেয়ে দিশা(৬) ও ছোট ছেলে(৪)। গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ(Police) এখন মণীষের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এটা জানার জন্য যে মণীষ ঠিক কার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল।