নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৫ তারিখ পুরভোট আর তার আগেই প্রশাসনের ‘অপব্যবহার’ করছে ত্রিপুরা বিজেপি। রবিবার সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে ‘সাজানো’ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করেছে আগরতলা মহিলা পুলিশ। আর সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেই দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আজ রাতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার আগরতলায় তাঁর ঘোষিত রোড শোয়ের কর্মসূচী থাকলেও দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের জেরেই সিদ্ধান্ত বদলে রবিবার রাতের বিমানেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
যেখানে সুপ্রিম কোর্টের তরফে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের করার মামলার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ’ ত্রিপুরা পুলিশ। সেখানেই বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী কিংবা প্রার্থীরা। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরাতে পুরভোট, তার আগেই যুবনেত্রী সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্বের পাহাড় ঘেরা এই রাজ্য। গত এক সপ্তাহ ধরে কখনও তেলিয়ামুড়া, খোয়াই, আগরতলাতে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের নেতা কিংবা কর্মীরা। যার প্রতিবাদে গত শুক্রবার ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে ধর্না দেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, সায়নী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়রা। গত শনিবার তেলিয়ামুড়াতে বানচাল করা হয় পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সভাও। ধস্তাধস্তি হয় বাবুলের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের। এর মাঝেই সায়নী ঘোষের নামে, ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর ‘ভুয়ো’ মামলা দিয়ে রবি সকাল থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই ঘটনা শোনা মাত্রই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাতেই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপর এই আক্রমণের জন্য দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারেন তৃণমূলের সাংসদরা। সায়নীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিজেপির পায়ের তলার মাটি নেই, তাই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে। ওঁর পাশে আমরা আছি, অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। লড়াই চালিয়ে যাব।’