নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লি আসার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই তিনি নিশানা বানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে(Giriraj Singh)। কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়েই তাঁকে গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন। দিল্লিতে এসে সেই দাবিকে আরও জোরদার ভাবে তুলেছেন গতকাল। আর এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে দাঁড়িয়েই তীব্র কটাক্ষ হানলেন অপর এক মন্ত্রীকে। তবে তাতে মূল মন্ত্রীর দিক থেকে আক্রমণের নিশানা ঘুরিয়ে দেননি তিনি। বিঁধেছেন তাঁকেও। তিনি তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন তিনি নিশানা বানিয়েছেন গিরিরাজের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকেও(Sadhvi Niranjan Jyoti)।
বাংলার কয়েক লক্ষ মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া আছে। একই সঙ্গে বকেয়া আছে আবাস যোজনার টাকাও। সেই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যই দিল্লিতে তৃণমূলের ২ দিনের ধর্না কর্মসূচি। সেই সূত্রেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল দেখা করতে চেয়েছিল গিরিরাজের সঙ্গে। কিন্তু তিনি দিল্লিতে থেকেই সময় দেননি তৃণমূলকে। এদিন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তৃণমূলকে সময় দেন সন্ধ্যা ৬টার সময়। সেই দেরীর কারণ হিসাবে তৃণমূলকে জানানো হয়েছিল মন্ত্রীর বিমান দিল্লি পৌঁছাবে বিকাল ৫টায়। অথচ এদিনই সাধ্বী বঙ্গ বিজেপির(BJP) নেতা ও বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) সঙ্গে দেখা করেন বিকাল ৪টের সময়ে মন্ত্রকের দিল্লির অফিসেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই দ্বিচারিতাকেই এদিন নিশানা বানিয়েছেন অভিষেক।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই সময় বদলে দেওয়া হয়। চিঠি দিয়ে জানানো হয় মন্ত্রী থাকবেন না। যে মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হল, বলা হল তাঁর বিমান ৫টায় নামবে। তাই সন্ধ্যা ৬টায় দেখা করবেন তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। অথচ খবর পাচ্ছি, উনি বিকেল ৪টেয় সময় দিয়েছেন শুভেন্দুকে। তা হলে বুঝুন, ভুক্তভোগী মানুষের জন্য মন্ত্রীর কাছে সময় নেই, শুভেন্দুর জন্য সময় আছে।’